বিজয় ভাষণ দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ, জোট গড়ার ঘোষণা


তারেক আজিজ প্রকাশের সময় : ০৯/০২/২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ণ /
বিজয় ভাষণ দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ, জোট গড়ার ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল এখনও পুরোপুরি প্রকাশ হয়নি। তবে ইতোমধ্যে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন নিয়ে এগিয়ে থাকায় নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বিজয় ভাষণ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন

নওয়াজ শরীফ তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মেয়ে মরিয়ম নেওয়াজ ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দেওয়া বিজয় ভাষণে বলেন, আমরা সবাই আজ অভিনন্দন জানাচ্ছি, কারণ এই নির্বাচনে পিএমএল-এ দেশের বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, আমি তোমাদের ভালোবাসি। আমি তোমাদের চোখে আলো দেখতে পাচ্ছি।

নওয়াজ জোর দিয়ে বলেন, সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানকে সংকট থেকে টেনে তুলার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা [সরকারে] সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের একমাত্র এজেন্ডা একটি সুখী পাকিস্তান এবং আপনারা জানেন আমরা আগে কী করেছি।
বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি শাহবাজ শরীফকে পিপিপির আসিফ আলী জারদারি, জেইউআই-এফ-এর ফজলুর রহমান এবং এমকিউএম-পির খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট সরকার গঠনের জন্য যোগাযোগ করতে বলেছি।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লাহোরের মডেল টাউনে তিনি এ বক্তব্য দেন। দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এখন পর্যন্ত ২৫১ আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৭টি আসন। অন্যদিকে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা জয় পেয়েছেন ১০৬টি আসনে। তবে পিএমএল-এন এর দাবি, দল হিসেবে প্রথম অবস্থানে তারাই। কারণ পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।
বিজ্ঞাপন

এ প্রতিবেদন লেখা অবধি পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, আসিফ আলী জারদারি ও তার ছেলে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি পেয়েছে ৫১টি আসন। এমকিউএম পেয়েছে ৯টি এবং জেইউআই-এফ পেয়েছে ২টি আসন। অন্যদিকে, পিটিআই সমর্থিত নয় এমন স্বতন্ত্র ১১ প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। এমন একটি সরকার গঠনে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরা সরকারি ফলাফল ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। এই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাধারণত পার্লামেন্ট সদস্য নিয়ে টানাটানি চলে। হর্স ট্রেডিং হিসেবে পরিচিত দলে ভেড়ানোর এই টানাটানির সময়ে পিটিআই সমর্থিত বিজয়ীরা কী করবেন তা এখন দেখার বিষয়। এছাড়া নওয়াজ শরীফ ও বিলওয়াল ভুট্টো হাত মিলিয়ে ফের জোট সরকার গড়বেন কি না—সেটিও বড় প্রশ্ন।