চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উন্মুক্ত আদর্শ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’র বিরুদ্ধে এক গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এনজিও’র সহপরিচালক হারুন ও মাঠকর্মী আব্দুল মালেককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু কাহার তাদের দু’জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. শাহিনুর রহমান (শাহিন)। তিনি জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর বাবুপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের মেয়ে মোসাঃ রূপালী (৪৬) ভবিষ্যতের সংকট বা বিপদে-আপদের জন্য টাকা জমাতে শুরু করে ‘উন্মুক্ত আদর্শ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামের একটি এনজিওতে। জমানো টাকার হিসাবটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বাদী রূপালী শিবগঞ্জ উপজেলার খাসেরহাট বাজার বিনোদপুর অবস্থিত এনজিও’র প্রধান শাখায় টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে এনজিও’র কর্তৃপক্ষ আজ বা কাল দিব বলে সময় ক্ষেপন করে। একপর্যায়ে বাদীর পাওনা ৪লাখ ৬১হাজার ৫শ’ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এনজিও কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের রূপালী বাদী হয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এনজিও’র পরিচালক শহিদুল ইসলাম(৪৫), ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন শিমুল(৪০), মাঠকর্মী আব্দুল মালেক(২৫) ও সহপরিচালক হারুন(৫০)-কে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষগ্রহণ শেষে আজ হারুন ও মালেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত ও বাকী দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। এনজিও’র সহপরিচালক হারুন শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ঘোষলাদা গ্রামের মো. মোসারফ -এর ছেলে ও মাঠকর্মী আব্দুল মালেক একই উপজেলার ভবানীপুর বাবুপর গ্রামের মো. জেম -এর ছেলে।
আপনার মতামত লিখুন :