মামলার বাদি ও যৌন হয়রানির শিকার মেয়েটির মা বলেন, ঘটনার ১ মাস আগে আমার মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয় রাজমিস্ত্রী বাবু। তবে ছেলেটির কিডনির সমস্যা ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিয়ে দিয়ে রাজি হয়নি। এর জের ধরেই বাবুর বোন চেমালী খাতুন আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মেয়ে ও বাবুকে বাড়িতে রেখে বাইরে চলো আসে চামেলী। এসময় বাবু মেয়েকে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে থাকে। রাজি না হওয়ায় তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় আমার মেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে মেয়েটি দৌড়ে পালিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের আটক করছে না। আমরা এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।
নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েটি জানায়, জানাজানি হয়ে যাওয়ায় এলাকার সবাই ঘটনাটি নিয়ে কানাঘুঁষা করছে। এমনকি আসামীর পরিবার থেকে বিভিন্নভাবে মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও মামলার বাকি দুইজন আসামী সাবলীলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এলাকায় তারা বলে বেড়াচ্ছে, আত্মসমর্পণ করলেও সমস্যা নাই, কয়েকদিনের বাবু বেরিয়ে আসবে।
মামলার অন্যতম বিবাদী ও প্রধান আসামীর চাচা মো. আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার দিন বাড়ি ফাঁকা ছিলো, বাড়িতে মেয়েটিও এসেছিলো। তবে যে অভিযোগ করা হয়েছে, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিক্তিহীন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশীষ সরকার বলেন, মামলার প্রধান আসামী আত্মসমর্পণ করেছে। বাকি দুই আসামী ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাই তাদের আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :