রাজশাহীর চারঘাটে মসজিদ কমিটিতে আধিপত্য বিস্তার ও ইফতার নিয়ে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে খোকন আলী (৩০) নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জোতকার্তিক গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে মামলা দায়ের করেন নিহত খোকনের স্ত্রী রুপা বেগম। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এপ্রিল) দুপুরে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ১৮ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুক্রবার ঘটনার সূত্রপাত ইফতার নিয়ে হলেও এর মূল দ্বন্দ্বটি হচ্ছে মসজিদ কমিটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। গতকাল মসজিদে ইফতারের সময় অভিযুক্ত মুকুল রাজশাহী থেকে চারঘাটে আসেন। এসেই তার অনুসারীরা তাকে বলেন, মুক্তার আমবাগানে নামাজ পড়েন আর এই মসজিদে ইফতার করেন। এ কথা শুনে মুক্তার ও তার পক্ষের লোকজনকে মুকুল গিয়ে বলেন, মসজিদে যাত্রাপালা শুরু করেছো নাকি? এই কথার পরপরই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে মুকুলের লোকজন খোকনকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি মুকুলসহ তার সহযোগীরা পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারে শনিবার সকালে জোতকার্তিক গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো এলাকা ফাঁকা। অনেকটা পুরুষ শূন্য। সবাই গ্রেফতার আতংকে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন। তবুও তাদের খোঁজ অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, এর আগে দুপক্ষকে পরিষদে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মুকুল ও তার দলবল বরাবরই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পরিষদে মীমাংসায় আসেনি। ফলে বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে যায়। আর যে কারণে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নিমপাড়া ইউপির চেয়ারম্যানকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, নিহতের স্ত্রী রুপা বেগম বলেন, আমার একমাত্র সন্তানকে যারা পিতৃহারা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। এর বেশি কিছুই চাওয়ার নেই।
আপনার মতামত লিখুন :