নিজস্ব প্রতিবেদক: সীমান্তে মাদকের অভিযানে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফ লাগানো অবস্থায় মাদক মামলায় এক আসামি পালিয়েছেন। গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি চর এলাকা থেকে তিনি হ্যান্ডকাফ নিয়ে সীমান্তের দিকে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তার সন্ধানে অভিযানে নামে। কিন্তু গত তিন দিনেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ওই আসামি এখন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ। পুলিশের ধারণা, তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়েছেন তিনি।
পলাতক ওই আসামির নাম মাসুদ রানা (২৮)। তিনি সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি জেলা পাড়ার নাজিবুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে একটি মাদক মামলার ওয়ারেন্ট মূলে মাসুদ রানা নামে ওই আসামিকে বিজিবির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আনার পর গ্রেপ্তার আসামির মোবাইলে হেরোইনের ছবি দেখা যায়। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গম চরাঞ্চল সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ টিম। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তার আসামির দেখানো মতো কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
সে সময় মাসুদের দুই হাতে একটি হ্যান্ডকাফ লাগান ছিল। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে মাসুদ হ্যান্ডকাফ নিয়েই দৌড়ে অন্ধকারের হারিয়ে যান। এরপর পুলিশ পিছু নিলেও তাঁকে ধরতে পারেনি। অভিযানে ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব, জালাল উদ্দীন, এসআই নাসির উদ্দীন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নয়ন কৃষ্ণ হোড়, এএসআই আব্দুল কাদেরসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাঁর বাবা নাজিবুল ইসলামও মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি এখন ভারতে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁর ভাই ও খালাতো ভাই সবাই মাদক কারবারে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তারের পর মাদকের একটি বড় চালানের সন্ধান জানতে পারে পুলিশ। এরপর রাতে তাঁকে নিয়ে মাদক উদ্ধারে যায় পুলিশের একটি দল। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তার আসামির দেখানো মতে এক কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় চরাঞ্চলের ওই গ্রামে প্রচুর বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছিল। বজ্রপাত ও প্রচুর বৃষ্টির সময় তিনি পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান। আমরা এলাকার তিনজন জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তারে বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় অভিযান করছি। আশা করি শিগগিরই মাসুদ ধরা পড়বে। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :