নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার মর্দনায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছে আধিপত্তের লড়াই। মর্দনা এলাকার হিন্দুদের ট্রাস্টের দেবত্তর সম্পত্তির ভোগদখল নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরে ৫টি হত্যাকান্ড হয়েছে। এছাড়াও গত ৭ মাসে ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকশ লোক নিজ গ্রাম ছেড়ে পাশের কয়েকটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। এ এলাকায় প্রায়দিনই হামলা, হুমকি, কৃষি ফসল ও ঘরবাড়ি লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খানের বিরুদ্ধে। এই ওয়ার্ডের নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠছে অপরাধীরা। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে
শঙ্কার কথা জানিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খায়রুল আলম জেম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি শিবগঞ্জকে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বলেন, ৩১ মার্চ নির্বাচনের দিন যতই ঘণিয়ে আসছে ততই আনেসুর রহমান (সোনা মিয়া), আব্দুল, মাওলানা মতিন, মজু, টুটুল, গাজী, আলমের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। তার দাবী, আমার উপর ২১ ফেব্রুয়ারি একটি মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। আমার পরিবারের সকল সদস্যরা নিরাপত্তা জনিত কারণে গ্রামে বসবাস করতে পারছে না। আমার ভোটের সমর্থকরা বিভিন্ন হুমকিতে গ্রামে স্বাভাবিক ভাবে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।
খায়রুল আলম জেম অভিযোগে উল্লেখ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান এইসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পর্দার অন্তরালে থেকে বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করছে। তিনি তাদের কু-পরামর্শ দিয়ে আমাকে ও আমার সমর্থকদের নির্বাচনের বাইরে রেখে এক তরফা ও পেশিশক্তি ঘাটিয়ে ৩১মার্চ
নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমি ও আমার সমর্থক ও পরিবারের সকল সদস্য উদ্বেগ ও শঙ্কা নিয়ে বসবাস করছি। আমার প্রাণ চলে যাবার শঙ্কা থাকলেও নির্বাচনী সকল বিধি মেনে প্রতিযোগিতা করব নাগরিক সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে। এ নির্বাচনকালীন সময়ে আমার এবং সমর্থক ও পরিবারের কোন সদস্যর প্রাণহানিসহ কোন ঘটনার সম্মুখীন হলে তার জন্য দায়ী থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সন্ত্রাসীরা। বিষয়গুলো আমলে নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও উৎসবমুখর করতে, সকল ভোটার ও প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন
তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান অভিযেডাগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নির্বাচনের দিন দুটি ভোট কেন্দ্রে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিক্তিহীন। অভিযোগের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেয়। অভিযোগটিতে যাদের সাথে আমার যোগসাজশের কথা বলা হয়েছে, তাদের কাউকেই আমি চিনি না।
আপনার মতামত লিখুন :